আফগানিস্তান কেঁপে উঠল: ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃত্যু ও ধ্বংসের ছবি
আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৮০০-এর বেশি নিহত, হাজার হাজার আহত। জালালাবাদসহ বহু গ্রামে ধ্বংসস্তূপ, উদ্ধারকাজ চলমান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহায়তা পাঠাচ্ছে। এই ব্লগে আমরা তাজা তথ্য, মৃত ও আহতের সংখ্যা, প্রভাবিত এলাকা, উদ্ধারকাজ এবং বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বিশদভাবে আলোচনা করেছি।
প্রারম্ভিকা: সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর প্রথম দিনে আফগানিস্তান কেঁপে উঠেছে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে। কুনার প্রদেশের জালালাবাদ থেকে ২৭ কিমি উত্তর-পূর্বে ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপ ও আকস্মিক বন্যা উদ্ধারকাজকে জটিল করে তুলেছে।
ভূমিকম্পের প্রভাবিত এলাকা
কুনার প্রদেশ: সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
জালালাবাদ শহর: কেন্দ্রস্থল থেকে ২৭ কিমি দূরে
নানগারহার: আফটারশকের কারণে বাড়তি ধ্বংস
ভূমিকম্প পরিসংখ্যান:
এলাকা | মাত্রা | গভীরতা | প্রভাব |
---|---|---|---|
জালালাবাদ | ৬.০ | ৮ কিমি | ব্যাপক ধ্বংস ও নিহত |
নানগারহার | ৪.৫ | ১০ কিমি | ধ্বংসস্তূপ ও আহত |
আশপাশের অঞ্চল | ৪.৩-৫.২ | ৮-১০ কিমি | আফটারশক অনুভূত |
নিহত ও আহতের সংখ্যা
মৃত্যু: ৮০০+
আহত: হাজারের বেশি
ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: শত শত গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস
উদ্ধারকাজ ও সাহায্য
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জরুরি সেবা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
আহতদের নানগারহার আঞ্চলিক হাসপাতালে হেলিকপ্টারযোগে পাঠানো হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০ জন চিকিৎসক ও ৮০০ কেজি ওষুধ পাঠিয়েছে কুনারে।
সড়ক যোগাযোগ আংশিকভাবে চালু, অভ্যন্তরীণ রাস্তা এখনও বন্ধ।
উদ্ধারকাজের চিত্র / ইনফোগ্রাফিক:
ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকাজের ধাপ দেখানো
আহতদের হাসপাতালে নেয়ার প্রক্রিয়া
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ মহাসচিব: আফগান জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ এবং সহায়তার আহ্বান।
ইরান: ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশও সম্ভব হলে ত্রাণ প্রেরণের উদ্যোগ নিতে পারে।
ভূমিকম্পের কারণ ও ভূগোল
আফগানিস্তান ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
হিন্দুকুশ পর্বতমালার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রায়ই ঘটে।
২০২৩-এ হেরাত প্রদেশে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজারের বেশি প্রাণহানি।
২০২২-এ পাকতিকা, পাকতিয়া, খোস্ত ও নানগারহারে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার প্রাণহানি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও সচেতনতা
বাংলাদেশের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা না হলেও আন্তর্জাতিক সাহায্য ও মানবিক সহায়তায় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয় সংস্থা ও সরকার আফগান নাগরিকদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিতে পারে।
ভবিষ্যতের জন্য দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।
সারসংক্ষেপ
আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর প্রথম দিনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা চলমান। বাংলাদেশের পাঠকরা সতর্ক থাকুন এবং প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগে অংশ নিন।
আপনি কি আফগান ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন? এই ব্লগ শেয়ার করে বন্ধু ও পরিবারকেও সচেতন করুন এবং মন্তব্যে জানান আপনার প্রতিক্রিয়া।
Comments
Post a Comment